দীর্ঘ এক যুগ কারাগারে কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আজহারুলকে আগের দিন দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল আদালত।কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, এটিএম আজহারুল ইসলামকে আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারামুক্ত ঘোষণা হওয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থাকা আজহারুলকে সেখান থেকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কারামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এই হাসপাতালে কয়েক মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন আজহারুল।
এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পান আজহারুল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে আজহারুলকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম দফায় ২০১৯ সালে আপিল করা হলে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিলেন তৎকালীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
জুলাই অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে দেশে আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা আপিল করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।
ছয় বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার আপিলে শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আজহারুলের মামলা বাতিল করে রায় দেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ইতিহাসে আপিলে এই প্রথম কেউ খালাস পেলেন। এই রায়ের ফলেই এক যুগ কারাবন্দি থেকে ফাঁসির দণ্ড থেকে মুক্ত মানুষ এটিএম আজহারুল।
0 coment rios: