Sunday, 31 August 2025

তফসিলের পর আসছে জামায়াতসহ ৮ ইসলামি দলের জোট

তফসিলের পর আসছে জামায়াতসহ ৮ ইসলামি দলের জোট

 




তফসিলের পর গঠিত হতে যাচ্ছে ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনী জোট। জামায়াতসহ আটটি ইসলামী দলের এই নির্বাচনী সমঝোতায় যুক্ত হতে পারে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি। উদ্দেশ্য—ভোটের মাঠে বিএনপির শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠা। আপাতত তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই সনদ ও নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে সতর্ক নজর রাখছে।

নব্বইয়ের পর দ্বিদলীয় বৃত্তের বাইরে এই প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। যেখানে আওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল।

ইসলামী দলগুলো তাদের সভা-সমাবেশে ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন কেমন হবে তাদের জোট সমীকরণ। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ আটটি ইসলামী দল নিয়ে নির্বাচনী জোট গঠনের চেষ্টা চলছে, যা দৃশ্যমান হবে তফসিল ঘোষণার পর।


আটটি ইসলামী দল হলো—

১. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

২. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

৩. বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

৪. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

৫. খেলাফত মজলিস

৬. নেজামে ইসলাম পার্টি

৭. ইসলামী ঐক্যজোট

৮. খেলাফত আন্দোলন


আদর্শ বা আকিদাগত বিরোধ থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই এসব দলকে ঐক্যে পৌঁছাতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। কয়েকটি ইসলামী দলের নেতারা জানিয়েছেন, জোটের আলোচনায় আছে এনসিপি, এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদও।

তবে বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন না করার পক্ষে একাট্টা তারা। দাবি—জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সংবাদ ২৪ কে বলেন, “ফ্যাসিবাদ আমলের সেই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হলে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। এ কারণে জুলাই সনদের ভিত্তিতে যা সিদ্ধান্ত হচ্ছে তার আইনি ভিত্তি দিয়ে এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে কোনো লাভ হবে না।”


এছাড়া লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়েও অসন্তোষ আছে ইসলামী দলগুলোর। অবস্থার পরিবর্তন না হলে নির্বাচন নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। তাদের বক্তব্য, আগের মতো প্রহসনের একতরফা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

Saturday, 30 August 2025

নুরের ওপর হামলার ঘটনায় জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা

নুরের ওপর হামলার ঘটনায় জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা

 


গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর আহতের ঘটনায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

 

শনিবার (৩০ আগস্ট) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হবে। সকালে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিবেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা আব্দুল হালিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এর আগে নুরুল হক নূরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। তিনি এক 

বিবৃতি বলেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য লাঠিচার্জ করে গুরুতরভাবে আহত করার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য লাঠিচার্জ করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি, অন্যতম জুলাইযোদ্ধা নুরুল হক নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুতরভাবে আহত করেছে। আমরা এ মর্মান্তিক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে আমরা আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এ হামলার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আমরা সকল মহলের পক্ষ থেকে সহনশীল পরিবেশ প্রত্যাশা করি। জাতি যখন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের হামলা আবার ফ্যাসিবাদের কথাই নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।

এসময় অবিলম্বে নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান মিয়া গোলাম পরোয়ার।