Sunday, 29 June 2025

সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকায় 'ফুড সিটি ইন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'-এর সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।

সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকায় 'ফুড সিটি ইন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'-এর সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।

 


সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২-এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মহিষালবাড়ী গ্রামের মৃত নৈমুদ্দিনের ছেলে মো. মামুন দুলাল এবং একই এলাকার মৃত বিজয় কর্মকারের ছেলে শ্রী সুমন কর্মকার।

রোববার (২৯ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১২-এর মিডিয়া অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উসমান গণি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (২৮ জুন) মধ্যরাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-১২-এর সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকায় 'ফুড সিটি ইন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'-এর সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক কেনাবেচায় ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২২ হাজার ৮০ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হেরোইন কেনাবেচা করে আসছিল।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Thursday, 26 June 2025

কি আর পেলাম স্বাধীন করে

কি আর পেলাম স্বাধীন করে



কি আর পেলাম স্বাধীন করে 

নেই স্বাধীন এর স্বাদ,

 সব যায়গাতে রাখা আছে গরীব মারার ফাদ।

ধনীরা সব ধনী হচ্ছে

গরীব হচ্ছে শেষ। 

স্বাধীন করে পেয়েছি আমরা এমনি একটি দেশ।

হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমে গরীব ঝড়ায় ঘাম,

রাজা আছে মহা সুখে,

 প্রজা পায় না দাম।

ভাবতে গেলে অবাক লাগে 

হায়রে স্বাধীনতা, 

এমন স্বাধীন পেয়েছি আমরা কেউ শোনে না কথা। 

দুর্নীতি আজ এতো চাঙ্গা, 

পঙ্গু  করেছে দেশ।

দেশের টাকা বিদেশ নিয়ে দেশ করেছে শেষ। 

দেখছে কিন্তু সব লোকে, 

কেউ বলছে না কথা

আমরা কি তাই চেয়ে ছিলাম এমন স্বাধীনতা। 


Monday, 23 June 2025

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ  প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে দ্বিমত এখনো

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে দ্বিমত এখনো

 


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। 

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে অধিকাংশ দল। তবে দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে বলে কয়েকটি দল মত দিয়েছে। রোববার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম দিনের সংলাপে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

এদিনের আলোচনায় অংশ নিয়েছে-বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চা বন্ধ করা ঠিক হবে না। আলাদা আলাদা আলোচনা করে সমাধানে আসা কঠিন। আমরা তো সংস্কার চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রের কোনো একটি বিভাগকে দুর্বল করে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে না। একজন স্বৈরাচার হয়েছিল। সেটি চিন্তা করে যদি সংস্কার করে হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে সেটি ঠিক হবে না। দুই মেয়াদ হোক বা পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হোক একজন কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন সেটা আলোচনা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, সংবিধানের মূলনীতির প্রশ্নে পঞ্চম সংশোধনীতে ফিরে যেতে চায় বিএনপি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র ও সামাজিক সুবিচারের বিষয়গুলো সংবিধানে রাখতে বিএনপির আপত্তি নেই। 

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ফলাফল কী হবে তা বলতে চাই না। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে না পারলে, জাতির জন্য তা হতাশাজনক হবে। অনেক বিষয়ে একমত হওয়া যাচ্ছে না উলে­খ করে, ন্যূনতম বিষয়ে একমত হওয়া জরুরি বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সর্বোচ্চ দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সেটি পূর্ণ মেয়াদ হতে হবে। কিন্তু কেউ মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারলে সেটি অন্যভাবে বিবেচনায় নিতে হবে। 

তিনি বলেন, যে কোনো ব্যক্তি জীবনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এ বিষয়ে রাজি জামায়াত। এর বেশি মেয়াদের ব্যাপারে জামায়াত রাজি নয়। ৫ বছর মেয়াদে দুবার কেউ পরিপূর্ণ মেয়াদ পূর্ণ করলে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দুনিয়ার বহু দেশে এমন নজির আছে। বাংলাদেশের জন্য এটা আমরা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয় মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল-প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ হবে দুটি। তিনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, এখন কয়বার ও মেয়াদ নিয়ে সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে। মেয়াদ বলতে পূর্ণ ৫ বছর অথবা সংসদ যতদিন আছে, সেটি বোঝায়। আর দুবার বলতে বোঝায়, একই মেয়াদের মধ্যে দুবার হতে পারে। এমন জায়গা থেকে আলোচনা হয়েছে।

বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহবায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, বাহাত্তরের মুজিববাদী মূলনীতি আমরা রাখার পক্ষে না। এ মূলনীতি বাদ দিতে হবে।’ 

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বলেন, বর্তমান যে ব্যবস্থা আছে, সে ব্যবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদটা সীমিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এ ছাড়া একজন কত বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন, এই জায়গায় আমরা সীমা নির্ধারণ করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে সবাই সর্বোচ্চ ১০ বছর বলছে। সময় নির্ধারণে আমাদের মতামত ফেক্সিবল (নমনীয়) থাকবে। 

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, পুরো মেয়াদ সম্পন্ন না করা নিয়ে বিতর্ক আছে। তা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবার বিবেচিত হবে।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের সমর্থন আছে। এটায় সিদ্ধান্তে আসা উচিত। ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঐকমত্যের স্বার্থে আমরা সর্বোচ্চ দুবারের পক্ষে। সংকটের মূল জায়গা নিম্নকক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি। এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একজন ব্যক্তি পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। এরপর একবার বাদ দিয়ে আবার থাকতে পারবেন।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, একজন পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। একবার গ্যাপ দিয়ে আবার দুবার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এভাবে যতবার খুশি ততবার হবেন।

আমজনতা দলের কার্যনির্বাহী সদস্য সাধনা মহল বলেন, এক ব্যক্তি দুবার প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। একবার গ্যাপ দিয়ে আরেক মেয়াদে থাকতে পারবেন।

জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে ছাড় চাইলেন আলী রীয়াজ: জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও নমনীয় হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। তাহলে জুলাই সনদ দ্রুত করা সম্ভব। কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এখানে এসেছি একটি বিশেষ ও কঠিন বাস্তবতায় ১৬ বছরের সংগ্রাম, সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগ, অনেকের নিখোঁজ হওয়া ও নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে। রাজনৈতিক দলগুলোরও অনেক ত্যাগ রয়েছে। তাই আসুন, সবাই মিলে সমঝোতার পথে এগিয়ে যাই। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ও বিচার প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে চলবে। তবে ঐকমত্যের জন্য দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। আলোচনা চলাকালে নতুন নতুন মত আসছে, ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে দলগুলোর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আরও আলাপ প্রয়োজন। তিনি জানান, উচ্চকক্ষ গঠন, নারীদের প্রতিনিধিত্ব এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ কিছু বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এসব নিয়ে আগামী সপ্তাহে আবার আলোচনা হবে।

কেয়ামত পর্যন্ত ঐক্যের সম্ভাবনা নেই নুরুল হক নুর: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যেভাবে ঐকমত্যের বিষয়ে আলোচনা চলছে তাতে কেয়ামত পর্যন্তও শতভাগ ঐকমত্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, মূল বিষয়গুলো গত ৩ দিনের মতো আজকেও অমীমাংসিত। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার বিরতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

ঐকমত্যের সঙ্গে নিজেদের অনেক প্রস্তাব থেকে সরে এসেছেন বলে মন্তব্য করে নুরুল হক নুর আরও বলেন, অনেক বিষয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে একমত হচ্ছি আমরা। কিন্তু এখানে কিছু কিছু দল একবারে নিজেদের অবস্থানে অনড়। ২ থেকে ৩টি দল তাদের পার্টির কনফার্মেশন নিতে হচ্ছে, দল থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে কেয়ামত পর্যন্ত কোনো ঐক্যের সম্ভাবনা দেখি না। কোনোভাবেই শতভাগ ঐক্যের জায়গা তৈরি হবে না। 

এজন্য আমরা বারবার বলেছি, কতটুকু পর্যন্ত আলোচনায় একমত হলে তাকে ঐকমত্য বলবেন বা কতটি দল একমত থাকলে সেটাকে ঐক্য বলবেন এটার একটা মাপকাঠির ঐকমত্য কমিশনকে নির্ধারণ করা দরকার। আমরা ঐকমত্য কমিশনকে বলেছি আপনারা এখানে রেফারির ভ‚মিকায় আছেন, সবার আলাপ-আলোচনা শুনে আপনাদের একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।

বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনি এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।


এবার গ্রেফতার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল

এবার গ্রেফতার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল

 


সাবেক সিইসি এ কে এম নুরুল হুদাকে গ্রেফতারের পর এবার গ্রেফতার হলেন আরেক প্রধান কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র তার গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায় রোববার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। 

তবে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ডিবির কোনো টিম তাকে গ্রেফতার করেনি।’

আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ২০২৪ সালে নির্বাচন করে ‘আমি-ডামি ভোট’ উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ওই কমিশনের বেশিরভাগ কার্যক্রম নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

ওই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন।

যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। একই মামলা অতীতের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও এই তিন নির্বাচনে ‘জয়লাভ’ করা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নামেও করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছিলেন। আজ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

এর আগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

Tuesday, 17 June 2025

Political votes

Political votes

Which political party do you support?

Saturday, 14 June 2025

বিএনপির চিঠি অভিশাপে পরিণত হয়েছে: নুর

বিএনপির চিঠি অভিশাপে পরিণত হয়েছে: নুর

 


বিএনপির সহযোগিতার চিঠি অভিশাপে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা চত্বরে উপজেলা গেস্ট হাউজের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গলাচিপায় তাকে অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদ জানান নুরুল হক নুর। এজন্য তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুনকে দায়ী করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, বিএনপি আমাদের (গণঅধিকার পরিষদ) আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপের চিঠি দিয়েছে। এই চিঠির কারণে হাসান মামুনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।

এলাকায় বিএনপির গণঅধিকারকে সহযোগিতা তো দূরের কথা, বরং হামলা-মামলা করা হয়েছে। সহযোগিতার আশীর্বাদ অভিশাপে পরিণতি হয়েছে। হাসান মামুনের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। অন্যথায় মানুষ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। ভোট এখনো হয়নি, গত ১০ মাসে মানুষ তিক্ত-বিরক্ত।

ভিপি নুর আরও বলেন, এখন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ কোনো দলের সঙ্গে জোট বাধেনি।

গণঅভ্যুত্থানের পরও যাতে কোনো ফ্যাসিবাদী দল প্রতিষ্ঠা না হয় তা সবাই চায়। সারাদেশের মানুষ হাসান মামুনের হীন কর্মকাণ্ডকে বিএনপির কর্মকাণ্ড হিসেবে নিচ্ছে। সে স্থান থেকে অনতিবিলম্বে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

আওয়ামী লীগের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় ডাকসু নির্বাচনে হামলা করা হয়েছে আমার ওপর। আমার নামে চুরির মামলা হয়েছে। আর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করা হচ্ছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম সিকদার, বরিশাল মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবু নাঈমসহ গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Wednesday, 4 June 2025

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত

 


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ কমিশন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

ইসি কমিশনার বলেন, প্রতীকের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়ে নিয়েছি। একই প্রজ্ঞাপনে ২০০৮ সালে দলটিকে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতীক কোনো দলকে দিলে সেটি সেই দলের জন্য সংরক্ষিত থাকে আরপিও অনুযায়ী। দলটি প্রতীকসহ নিবন্ধন পাবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতীকের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়ে নিয়েছি। একই প্রজ্ঞাপনে ২০০৮ সালে দলটিকে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতীক কোনও দলকে দিলে সেটি সেই দলের জন্য সংরক্ষিত থাকে আরপিও অনুযায়ী। দলটি প্রতীকসহ নিবন্ধন পাবে।

Sunday, 1 June 2025

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ


রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ।


প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ রায় দেন।

এর আগে গত ১৪ মে দলটির করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য আজকের দিন (১ জুন) ধার্য করেছিলেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জামায়াতকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন। এরপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। এরপর আরও কয়েক দিন শুনানি হয়। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন তারিখ নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। সে অনুসারে আজ রায় হলো।